মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন
খুলনা ব্যুরো::
মেয়েকে চড় মারার ঘটনায় ক্ষীপ্ত হয়ে জামাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে মুখ, হাত ও পা বেধে আগুনে ঝলসে দিয়েছে শশুর বাড়ির লোকজন।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) দিবাগত রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার মৌভোগ গ্রামের কাঞ্চন শিকদারের বাড়িতে। আগুনে ঝলসেযাওয়া পাভেল কাঞ্চন শিকদারের মেয়ের জামাই ও খুলনার রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের ঘাটভোগ গ্রামের ইউনুচ গাজীর ছেলে।
পাভেল বলেন, ফকিরহাট উপজেলার মৌভোগ গ্রামের কাঞ্চন শিকদারের কন্য রিক্তার সাথে ৬ মাস আগে তার বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে রিক্তা তার ইচ্ছামতো চলাফেরা করতে থাকে। বিষয়টি তার পরিবারকে জানালেও কোন পরিবর্তন আসেনি। এছাড়া সে পরকীয়া অন্য একজন পুরুষের সাথে বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণংলকার নিয়ে চলে যায়। আমি অনেক খোজাখুজি করে তার সন্ধান পাই। পরে তাকে ফিরিয়ে এনে তাকে নিয়ে আবারও সংসার করতে চাই। কিন্তু রিক্তা তার পিতার বাড়ি থেকে আসতে চায় না। বউকে আনার জন্য পাভেলের পরিবার তার শশুর বাড়ি মৌভোগ কাঞ্চনের বাড়িতে যায়। শশুর বাড়ির লোকেরা পাভেল আসলে তার কাছে মেয়ে দিবে না বলে জানায়। পরে ঘটনার দিন পাভেল সন্ধ্যায় শশুর বাড়িতে যায়। রাতে রিক্তার সাথে তর্কবিতর্কের এক পর্যায় পাভেল তার বউকে একটা চড় মারে। এঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শশুর, শাশুরী, সালা ও ভায়রা মিলে পাভেলকে হত্যার উদ্দেশ্যে আগুনে ঝলসে দেয়। সারা শরীরে রয়েছে হাতুড়ি দিয়ে আঘাতের দাগ।
ঘটনার বিষয়টি পাশের বাড়ির লোকজন টের পেয়ে পাভেলের বাড়িতে খবর দিলে তার পরিবার তাকে উদ্বার করে রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বিষয়টি ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেনকে জানিয়েছেন বলে ইউনুচ গাজী জানায়। জাহাঙ্গির মেম্বর কাঞ্চন শিকদারের আত্বীয় বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে পাভেলের শ্বশুর-শ্বাশুড়ির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদের সাথে মোবাইলে পাওয়া যায়নি।